ত্রিপলি, ৩রা নভেম্বর ২০২১: আজ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বানী পাঠ এবং ৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ এর এই দিনে শাহাদাত বরণকারী জাতীয় নেতাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
জেলহত্যা দিবসের ইতিহাস আলোচনাকালে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান বলেন, ৩রা নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন। জেলহত্যা দিবসের তাৎপর্য আলোচনাকালে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তাঁর অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করে উপস্থিত সকলকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখতে এবং জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে আহ্বান জানান।
সর্বশেষে ১৯৭৫ সালের এই দিনে শাহাদাত বরণকারী জাতীয় নেতাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।